বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর

রংপুর সরকারি কলেজ ইউনিট, রংপুর।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) গৌরবময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সুশৃংখল, সুসজ্জিত ও সেচ্ছাসেবামূলক একটি সংগঠন।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর মূলমন্ত্র: জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও একতা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

  • যুব সমাজের নৈতিক চরিত্রের উন্নতি সাধন,তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলীর বিকাশ, দেশের কাজে ত্যাগের মনোভাব গঠন ও সর্বোপরি ছাত্র ও ছাত্রীদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা।
  • ছাত্র ও ছাত্রীদের সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষার কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগানো।
  • জাতীয় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড এবং দুর্যোগের সময় সুশৃঙ্খল সেচ্ছাসেবক বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা।
  • বহিঃশত্রম্নর আক্রমনের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় সারির প্রতিরোধ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা।
  • নেতৃত্ব দানের সক্ষম নেতৃত্বের সংরক্ষণ হিসাবে গড়ে তোলা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর সমাজ সেবা মূলক কর্মকান্ডঃ

  • শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে সহায়তা প্রদান।
  • বন্যা দূর্গত মানুসের মাঝে ত্রান বিতরনে সহায়তা প্রদান।
  • জাতীয় টিকাদান কর্মসূচীতে সহায়তা প্রদান।
  • মাদক বিরোধী প্রচারণা।
  • বৃক্ষ রোপন।
  • ভূমিকম্প সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা প্রদান।
  • ইত্যাদি।

সার্বিক তত্ত্বাবধায়নঃ

জনাব কানিজ উম্মে নাজমা নাসরীন, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর।

বিএনসিসি অফিস-এর সামরিক অফিসারঃ

মো.হারম্নন অর রশীদ, মেজর ও এ্যাডজুটেন্ট, ২/ মহাস্থান ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), আর কে রোড, বিনোদপুর, রংপুর।

রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারঃ

জনাব মোঃ হারম্নন-অর-রশীদ, প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ পদবীঃ পস্নাটুন কমান্ডার (PUO)

সামরিক স্টাফঃ

জনাব মোঃ মিলটন, পদবীঃ কর্পোরাল (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তবে যে কোন সময় পরিবর্তনযোগ্য)

ক্যাডেট বাছাই প্রক্রিয়াঃ

  • একাদশ ১ম বর্ষ, ডিগ্রী (পাস) কোর্স ১ম বর্ষ ও অনার্স ১ম বর্ষের ( সকল বিভাগের ) ছাত্ররা ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হতে পারে (যেহেতু অত্র কলেজে পুরম্নষ পস্নাটুনের অনুমোদন রয়েছে ) ।
  • ক্যাডেট শীপের মেয়াদ একাদশ শেণির জন্য ০২ (দুই) বৎসর এবং ডিগ্রী (পাস) ও অনার্স কোর্সের জন্য ০৩ (তিন) বৎসর যাহা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ (কিছুকিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে) সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তাদের সনদপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে।
  • বিএনসিসি পস্নাটুনের প্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতি বছর জুলাই থেকে আগস্ট মাসে ছাত্রদের ক্যাডেট হিসাবে ভর্তি করা হয়। পস্নাটুনে/ শিা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের ক্যাডেট হিসাবে ভর্তির সার্বিক দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি কর্তৃক নিয়োজিত সামরিক প্রশিক্ষকের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার (PUO) করে থাকেন।
  • আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে অত্র কলেজে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাসহ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করতঃ সিভিল সার্জন/ মেডিকেল অফিসার কর্তক চুড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ফলাফল ঘোষনা করে মেধাক্রম অনুযায়ী ক্যাডেট মনোনয়ন দেয়া হয়।
  • লিখিত পরীক্য় উত্তীর্ণ সাপেÿÿ যাদের উচ্চতা ৫.৬ ইঞ্চির উপরে, যারা খেলাধুলায় পারদর্শী, যারা সাংস্কৃতিক চর্চা এবং বিতর্কে পারদর্শী তাদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়।
  • ক্যাডেট মনোনয়নের ÿÿএে কোন ধরনের সুপারিশ/তদবির ক্যাডেট ভর্তির অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়।
  • ক্যডেট মনোনয়নের ÿÿএে সকল ÿমতা কর্তৃপÿ সংরÿণ করেন।

প্রশিক্ষণঃ

সপ্তাহে ০২ (দুই) দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও সামরিক স্টাফ-এর উপস্থিতিতে অত্র কলেজে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

সুবিধাদিঃ

  • বিএনসিসি ক্যাডেটগণ যোগ্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্তির জন্য প্রথমিক নির্বাচনী পরীÿায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেÿÿ সরাসরি আইএসএসবি পরীÿায় যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগের ÿÿত্রে বিএনসিসি ক্যাডেটদের জন্য আলাদা কোটা বরাদ্দ থাকে এবং বিএনসিসি ক্যাডেটগণকে পৃথক ভাবে নির্বাচন করা হয়।
  • বিএনসিসি ক্যাডেটগণ জাতীয় প্যারেড থেকে শুরম্ন করে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অংশগ্রহণ করে থাকে।
  • বিএনসিসি ক্যাডেটগণ ক্যাপসুল প্রশিÿণ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ শীতকালীন প্রশিক্ষণ, বাৎসরিক প্রশিক্ষণ,এ্যাডভান্সট লিডারশীপ প্রশিক্ষণ, জাতীয় প্যারেড থেকে শুরম্ন করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে যা তাদের বিভিন্ন ÿÿত্রে কাজে লাগে।
  • বিনা খরচে ক্যাডেটদের কম্পিউটার ও ইংরেজি ভাষার উপর প্রশিÿণ দেয়া হয়।
  • মেধাবী ক্যাডেটদের বাৎসরিক উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
  • সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ ভ্রমণের (ভারত, শ্রীলঙ্কা, ও মালদ্বীপ) সুবিধা।
  • অন্যান্য।